MUJIB CORNER

নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন(এনজিএফ) একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা।বিগত প্রায় তিনদশকের বেশী সময়ধরে প্রতিষ্ঠালগনের শুরু থেকেই  বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্বীবিত থেকে অতিদরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, জলবায়ু পরিবর্তন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি প্রশিক্ষন ও ঋন সহায়তাসহ নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এবংসরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এর লক্ষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শ, জীবনাচর, রাজনৈতিক দর্শন, নেতৃত্বগুন, দেশপ্রেমসহ সার্বিক কর্মকান্ড এবংমুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ সৃষ্টির জন্য“বঙ্গবন্ধু কর্নার“ স্থাপন করা হয়েছে।এ কর্নারে আছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ বই যেমন- বঙ্গবন্ধুর ১০০ ভাষন, বঙ্গবন্ধুর ৬দফা বাঙালির মুক্তির সনদ, বঙ্গবন্ধুর উক্তিসংগ্রহ, বঙ্গবন্ধুর বাজেট১৯৭১-১৯৭৫, মানবতার জননী শেখহাসিনা ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।তিনি ১৯২০ সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দয়ালু সাহসী ও প্রতিবদী।তিনি সর্বদা গরিব দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন।গরিব দুঃখী মানুষের উপর কোন ধরনের নির্যাতন হলে তিনি সর্বদাতার প্রতিবাদ করেছেন। তাই তার জীবনের অধিক সময় তাকে জেলে কাটাতে হয়েছে।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ের আগ পর্যন্ত মোট ২৩ বছরের অর্ধেকের বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন জেলে।তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত মানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন একটি স্বাধীন দেশ গঠনের জন্য। তারই চেষ্টায় আজ বাংলাদেশ স্বাধীন।তিনি আমাদের মুক্তিদ্ধের মহানায়ক। তিনি আমাদের দেশের উন্নতির জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন।তিনি এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলেন যেটি হবে সব থেকে বেশি উন্নত এবং সব থেকে সুন্দর।তাই তাকে বাংলার সকল মানুষ ভালোবাসতো, শ্রদ্ধাকরত। অন্নদাশংকর লিখেছেন- যদকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।  তিনি ছিলেন মানুষের গভীর বিশ্বাস।কিন্তু এক দল ষড়যন্ত্রকারীর হাতে ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর পর মানুষ শোকে বজ্রাহত হয়ে পড়ে।তার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের উন্নতি থেমে যায়নি কিন্তু বঙ্গবন্ধু থাকলে হয়তো আরও দ্রুত এবংআরো সুন্দর হতো।বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি কেননা বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে থাকবেনা কোন দুর্নীতি থাকবেনা কোন মানুষ অনাহারে । কিন্তু বাংলাদেশ আজও তেমন নয় ।তাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর ত্যাগও তার চরিত্রগত দিক গুলো থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।বঙ্গবন্ধু কাজের মাধ্যমে তার নাম বাংলার ইতিহাসে স্বাক্ষরে লিখে রেখে গেছেন।বঙ্গবন্ধু নিয়ে যত প্রশংসা করা হোক না কেনএকটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। তিনি জাতির পিতা  তিনি আমাদের অতি আপনজন।